Header Ads

"কোম্পানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ কালী মন্দির পরিদর্শনে সিলেটের ডিসি ও এসপি"।


   
লবীব আহমেদ, কোম্পানীগঞ্জ, প্রতিনিধিঃ-  গত শুক্রবার রাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা নওয়াগাঁও গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ অস্থায়ী কালী মন্দির পরিদর্শন করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। এসময় তার সাথে ছিলেন, গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কানু, কোম্পানীগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অকিল চন্দ্র বিশ্বাস।

এর আগে গত শনিবার সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল হক উক্ত স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম,  কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানুসহ সঙ্গীয় ফোর্স। স্থানীয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এটা নিছক দূর্ঘটনা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘটে যাওয়া অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরটি সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীরাও পরিদর্শন করেছেন। রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় সরেজমিন মন্দির পরিদর্শন কালে স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক লোক জানান, ১৯৭১ সালের আগে থেকে শিমুলতলা নওয়াগাঁও গ্রামে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা উক্ত স্থানে ৩ফুট-৫ফুট আয়তনের খড়ের ঘর তৈরি করে অস্থায়ী ভাবে প্রতিমা রেখে তারা কালীর প্রার্থনা করেন। তবে  শুকনো মৌসুমে এখানে তারা ধর্মীয় কার্যক্রম চালান। বর্ষায় প্রতিমাটি তারা স্থানান্তরিত করে বাড়ীতে নিয়ে যান। ধলাই নদীর তীরবর্তী শিমুলতলা নওয়াগাওঁ দক্ষিণ সড়কের উত্তর পার্শ্বে মাঝারি আকারের জারুল গাছের নিচে ৩/৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের ছোট একটি অস্থায়ী মন্দিরে তাদের প্রতিমা রাখা ছিল। ৩/৪ ফুট খড়ের ভেড়া ও ছনের ছানী ছিল ওই মন্দিরের উপরে। কিভাবে ওই মন্দিরে আগুন লেগেছিল এই প্রশ্নের উত্তরে উক্ত গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মন্দিরে সন্ধ্যায় তারা প্রদ্বীপ দেন। মন্দিরের ভেতরের মমের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে তাদের ধারণা।

 সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মন্দির পরিদর্শন কালে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, "পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মধ্যে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সৃষ্টি করে ছিলেন তা আজও বিদ্যমান রয়েছে"। তিনি আরো বলেন, "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে উস্কানী দেয়ার লক্ষ্যে হয়ত কোন চক্র এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ইতি মধ্যে পুলিশ বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এলাকাবাসীকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে উক্ত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উম্মেচন হবে। এর সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে থাকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে"।

No comments

Powered by Blogger.