'মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা "বঙ্গবন্ধু" কবিতা'।
"বঙ্গবন্ধু"
লবীব আহমেদ
ছোট্র শিশু মায়ের সাথে খেলতো দিবারাত্রি,
কেমন করে সে যে হলো বাংলার পথযাত্রী?
স্কুলে তে সেই ছেলেটি যেতো প্রতিদিন,
মা-বাবার সোনার ছেলে, সোনার একটা হরিণ।
২০ সালেতে জন্ম তাহার টুঙ্গিপাড়া গ্রাম,
মা-বাবার প্রিয় খোকা মুজিব তাহার নাম।
চরিত্রটা তাহার ভালো, মিস্টি মুখের বুলি,
আটকাতে পারে নি তাঁকে, পাকসেনাদের গুলি।
জেল-জুলুমে কেটেছে যে তাহার অনেক বছর,
তবুও সে জেলে বসে গুনত মুক্তির প্রহর।
৫২তে জীবন বাজি রেখে ধরল অনশন,
দাবী তাহার একটাই রুখতে হবে দুঃশাসন।
২৬শে মার্চ বন্দি হলেন পশ্চিমাদের জেলে,
৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে।
৮ তারিখে মুক্তি পেলেন বাঙালি জাতির জনক,
১০ তারিখ দেশে ফিরলে বাঙালি পায় নতুন এক চমক।
৭২ এ শাসনভার বাঙালি দিলো তাহার হাতে,
সুখে যেন মানুষগুলো বাংলায় বেঁচে থাকে।
১৫ আগস্ট শহীদ হলেন বাঙালীর প্রিয় নেতা,
যাদের তিনি বাঁচিয়েছিলেন, তারাই হত্যার মূল হোতা।
১৫ তারিখ মুজিব মরেনি, মরেছে মানবতা,
মুজিব না থাকলে কি, আজো পেতাম স্বাধীনতা?
বিশ্ববাসী জানে কিন্তু, মুজিব কেমন নেতা,
যার ভাষণে জেগে উঠত, বাংলার সব জনতা।
মুজিব আছে মোদের, সবার প্রাণে-প্রাণে,
মুজিব মানে স্বাধীনতা বিশ্ববাসী জানে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী-২০২০
ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজ।
কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট।
No comments